সহজলভ্য মাদক, নেশা জাতীয় দ্রব্য মানুষকে দানবে পরিনত করছে । পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সকলের দায়বদ্ধতা রয়েছে এ দানব তৈরিতে । ঘরের ছেলে কোথায় যায় কার সাথে চলাফেরা করে তার খেয়াল না রাখলে অসৎ সঙ্গে যে কোন পরিবারে সৃষ্টি হতে পারে এ দানবের । সময় থাকতে নিজের সন্তানকে রক্ষা করুন ।
কিছু নেতাদের চোখের কালো গ্লাসে নিজের মাদক সেবী চক্ষু জুগল ঢেকে রাখুক আর নাই রাখুক এরা পরোক্ষভাবে বা সরাসরি মাদকব্যবসাকে মদদ দিয়ে আমাদের প্রিয় দেশের তরুণ প্রজন্ম কে দানবে পরিনত করছে। শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদকের জমজমাট ব্যবসা । ভিকটিম তরুণ প্রজন্ম।
বহু তথাকথিত অসমবয়সী নেতা নিজ স্বার্থে তরুনদের ব্যবহার করার জন্য তাদের সাথে নিয়ে মাদক সেবন করে বলে কথিত আছে। এ নেশাগ্রস্ত অল্প বয়সী তরুণ প্রজন্ম দানবে পরিনত হয় । তারা ভাবে তাদের অসমবয়সী নেতা বাপেরা তাদের কূকর্মকে আড়ালে নিয়ে তাদের বাঁচাতে এগিয়েতো আসে। তাই দানবদের বিচার যেন নেই ।
আরো পড়ুনঃ কুমিরা-গুপ্তছড়া: মার্চেও আসেনি যাত্রীদের সুদিন
এ দেশে এখনো ভালো মানুষ আছেন, ভালো নেতাও আছেন । মাদক নেশা জাতীয় দ্রব্য সমূলে উৎপাটন করতে হবে। দানবদের কঠিন বিচার স্বল্প সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। তাদের মদদ দাতাদের ও কঠিন বিচার দাবি করছি ।
দানবদের থামাতেই হবে । পরিবার , সমাজ , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , প্রশাসন ও রাষ্ট্র কেউ এ দায় এড়াতে পারেনা ।
শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনতে হবে । নৈতিক শিক্ষা, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ, মূল্যবোধ, team work, জীবনমূখী শিক্ষা, শরীর চর্চা, খেলাধুলা ইত্যাদি পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন যা শিশুদের মানসিক বিকাশে বিশাল ভূমিকা রাখবে । পুঁথিগত শিক্ষা সুনাগরিক তৈরিতে প্রধান অন্তরায় বলে আমি বিশ্বাস করি ।
প্রতিটি দানবের প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে সে খবর সমস্ত মিডিয়াতে বেশি করে প্রচার করতে হবে । আমাদের প্রিয় দেশে আর যাতে একটি দানবও তৈরি না হয় সে জন্য শিশুবান্ধব সুপরিবেশ তৈরির কোন বিকল্প নাই।
প্রিন্সিপাল ড. সালেহা কাদের