• বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন

পৌরসভায় এম.এস এর কার্ড প্রতি ৫শ টাকা !!

সন্দ্বীপ জার্নাল ডেস্ক: / ৮৮৯ ৪ ৯
আপডেট: শুক্রবার, ১ মে, ২০২০

পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জামালের বিরুদ্ধে ওএমএস এর কার্ড প্রতি ৫০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০শে এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডের তেগবাজেরগো এলাকার উত্তর পার্শে এই নিয়ে ভুক্তভোগীদের এক জায়গায় জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় পুরুষ মহিলা সহ প্রায় ৭০/৮০ জনের একটি জটলা। সেখানে সবাই কমিশনার জামালের বিচার চাই, বিচার চাই এমন শ্লোগান দিতে শুনা যায়।

ঘটনা স্থলে উপস্থিত মনসাজির বাড়ির জামালের স্ত্রী অালো বেগম জানান, তিনি জামাল কমিশনারের বাড়িতে ওএমএস এর ফর্ম সংগ্রহ করতে গেলে জামালকে না পেয়ে তার ভাবির কাছে ফর্ম চাইলে তিনি প্রথমে জানান কার্ড শেষ হয়ে গেছে। পরে বলেন কার্ড দেওয়া যাবে তবে তার জন্য ৫ শ টাকা দিতে হবে তখন সে ৫শ টাকা দিয়ে ফর্ম কিনে তা পুরন করে জামালের নিকট জমা দিয়ে এসেছেন।

মনসাজির বাড়ি বাড়ির আরেক মহিলা কুলসুমা -স্বামী হেলাল উদ্দিন জানান, আমার থেকে জামালের ভাবি সারাজীবন ১০ টাকার দরে প্রতিমাসে ২০ কেজি করে চাউলের জন্য ৫ শ টাকা দিতে বলেন আমি কার্ড পাবোনা ভেবে ৫শ টাকা জমা দিয়ে ফরম সংগ্রহ করি এবং ফরম নিয়ে আসার সময় টাকার কথা কাউকে বলতে নিষেধ করেছেন ওনি।

আরো পড়ুনঃ রোজিনার ঝুলন্ত লাশ : অভিযোগের তীর কার দিকে ??

কালাম সওদাগরের নতুন বাড়ির জসিম উদ্দিনের স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন, আমিও ৫০০ টাকার বিনিময়ে কার্ড সংগ্রহ করতে হয় জেনে ৫ শ টাকা দিয়ে ফরম সংগ্রহ করেছি এবং পুরন করে জমা দিয়েছি। এ ব্যাপারে তারা কিভাবে একত্র হলো জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা একজন অপরজন থেকে জানতে জানতে খবর পেলাম প্রায় ২০/২২ জনের কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে আর তা জেনে সবাই এর প্রতিবাদে একত্রিত হয়েছি।

কিন্তু মেয়র বরাবরে কোন অভিযোগ করা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তারা তা করেননি বলে জানান । তবে আগামীকাল মানে আজ ১ মে অভিযোগ পেশ করবেন বলেও জানান । কেউ কেউ মেয়র বরাবরে অভিযোগ করে লাভ হবেনা বলেও মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে কমিশনার মোঃ জামাল উদ্দিন এক জানান, আমার ফরম সব আমার হাত দিয়ে বিতরন করেছি। আমার ফরম আমার ভাবির কাছে কেন থাকবে? এবং সে দেবে কেন? সত্যিকারে আমার বিরুদ্ধে এরা মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত বয়ান দিচ্ছে। মূলত আমি রাজনৈতিক কোন্দলের স্বীকার।

আরো পড়ুনঃ করোনার একি কাল !!

এ ব্যাপারে তার ভাবি বলেন, আমি কাউকে কোন ফর্ম দিইনি । আমার দেবর বাড়িতে থাকতে আমি ফর্ম দেওয়ার প্রশ্নই উঠেনা যারা অভিযোগ করছে তারা মিথ্যে বলছে।

এ বিষয়ে মেয়র জাফর উল্যা টিটু বলেন, আমি একজন কমিশনার ও একজন সংবাদ কর্মীর মাধ্যমে গতকাল বিষয়টি জানতে পেরেছি। এবং তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে ৫ দিনের জন্য কর্মকান্ড না চালাতে নির্দেশ দিয়েছি। এরপর সকালে সকল কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি সভা করে কমিশনার ও প্যানেল মেয়র শাহাদাৎ বিল্লাহ খান মহসিনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাদের ৫ দিনের ভিতর তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছি। অভিযোগ প্রমানীত হলে বাংলাদেশ দন্ডবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষপাতিত্ব চলবেনা।কারন আমি পৌরসভার কর্মকান্ড এ পর্যন্ত স্বচ্ছ রেখেছি। সে সুনাম নষ্ট হতে দেবোনা। তবে এখনো পর্যন্ত কোন লোক আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেনি কেন সেটা স্পষ্ট নয়।


Skip to toolbar