• মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ন

মুছাপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা: নেপথ্যে কি ??

সন্দ্বীপ জার্নাল ডেস্ক: / ৫৩১ ৪ ৯
আপডেট: শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০
মুছাপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা: নেপথ্যে কি ??মুছাপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা: নেপথ্যে কি ??

মুছাপুরে রাতের অন্ধকারে আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে হামলার খবর পাওয়া গেছে । এতে মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ফোরকান উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক আলি সহ ৭ জন আহত হয়েছেন ।

জানা গেছে, নারী উত্যক্তের জের ধরে মুছাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে ।

আহতরা হলেন, মুছাপুর ৭ নং ওয়ার্ডের মুরাদ ফকিরের বাড়ির মোঃ ফোরকান, রবি আলম , সফি আলম, রোকসানা আক্তার, মোবারক, ইউছুপ, সাহেনা বেগম । ঘটনায় অপপক্ষেরও রাজু নামে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।

আরো পড়ুনঃ সেই মমতার সীমাহীন প্রতারণা

হামলায় আহত মোবারক সন্দ্বীপ জার্নালকে বলেন, ‘রাকিব নামে একটা ছেলে গত কয়েকমাস ধরে একটা আমার স্ত্রীকে মোবাইলে বিরক্ত করে আসছে ।  শুক্রবার বিকেলে সে আমার বাড়িতে আসলে আমি তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আমি বাজারে গিয়ে কিছু জিনিস কিনে ফেরার পথে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিদ্দিকের সমর্থক রাজু রাকিবসহ ২০-২৫ জন মিলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে।   ইফতারের আগ মুহূর্তে তারা আবার বাড়িতে এসে আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার মাকেও লাঠি দিয়ে মেরে আহত করে।

মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফোরকান উদ্দীন বলেন, আমি কিছুই জানতাম না, রোজার মাস, আমি বিকেলের দিকে মাঠে কাজ শেষ করে ইফতার করেছি ঘরে । হঠাৎ যুবলীগ সভাপতি ছিদ্দিক ২০-২৫ নিয়ে এসে আমার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। আমরা এখন গাছুয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। এই ঘটনার কথা সন্দ্বীপের এমপিসহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে জানানো হয়েছে।’ নেতৃবৃন্দের পরামর্শে আমি মামলা করার চিন্তা ভাবনা করছি । কারণ যুবলীগ সভাপতি এর আগেও আমাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছে । আজও আমার বাড়িতে এসে হামলা করেছে ।

আরো পড়ুনঃ সন্দ্বীপে ইউপি মেম্বারের চাল কেলেঙ্কারী: ভয়ে মুখ খুলতে চায়না কেউ 

এই বিষয়ে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের নাদিম বলেন, ‘এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। যুবলীগ সভাপতি ছিদ্দিকের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। মোবারক ও ফোরকানের পরিবারের কয়কেজনকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনা এমপি মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি চিকিৎসা করতে বলেছেন। পরে তিনি ঘটনা দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবলীগ সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ওনাকে পাওয়া যায়নি তবে তিনি দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানিয়েয়েছেন, আমি হামলার সময় ছিলাম না। হামলার পর পুলিশ যখন তদন্ত করতে গেছে তখন সেখানে আমিও গিয়েছিলাম। আমি এখন থানায় আছি।’

চট্টগ্রাম প্রতিদিন জানায়, ছিদ্দিকুর রহমান পুলিশের তদন্ত দলের সাথে ঘটনাস্থল ঘুরে থানায় এসেছেন বলার মিনিট দশেক বাদে বিস্তারিত জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরীফুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি কিছু জানিনা। ঘটনা তদন্ত করতে থানা থেকে লোক গেছে, তারা আসলে বলতে পারবো।’

এদিকে রাত ১০ টার সময় মোবারক সন্দ্বীপ জার্নালকে আবারো ফোন করে জানিয়েছেন, আমি এখনো পর্যন্ত বাড়িতে যেতে পারছিনা, সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ির সামনে টহল দিচ্ছে । মুছাপুর ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার আমার স্ত্রীকে ডেকে বলতেছে “তোমরা কালকে দিনের মধ্যে তোমার স্বামীসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাও, কাল তোমার বাড়ি ঘর হামলা করে ভাঙচুর করবো” আমি খুবই দুরবস্থায় আছি ।

সন্দ্বীপ থানার ডিউটি অফিসার এস আই আলিম জানান, খেলা নিয়ে ছেলেদের পূর্বের ধন্ধের জের ধরে হাতাহাতি মারামারি হয়েছে । এখন সব ঠিক আছে । এক পক্ষ অভিযোগ দিয়ে গেছে, তদন্ত চলছে । অন্যপক্ষ এখনো থানায় আসেনি ।

সন্দ্বীপ জার্নাল/ইএএম


Skip to toolbar