প্রতারক মমতা সন্দ্বীপ থানায় আটক হওয়ার পর থেকেই নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো সন্দ্বীপজুড়ে । ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে তার আরো অনেক অপকর্মের ঘটনা । সীমাহীন সেই প্রতারণার কিছুটা বর্ণনা করেছেন, মোঃ রিপন নামে এক ব্যক্তি ।
রিপন বলেন, মমতাকে চিনতাম আমাদের এলাকার ভাবী হিসেবে, অনেক বছর পরে একদিন চট্টগ্রাম দেখা হলে আমাকে জানালো যে, সীতাকুণ্ডে তার একটা জমি আছে সেটা বিক্রি করতে চায়, আমিও জমি কিনতে আগ্রহী ছিলাম । সেভাবেই পরিচয় ।
জমি কিনেন নি কেন জানতে চাইলে রিপন জানান, জমি দেখার আগেই বিপুল পরিমান টাকা চেয়ে বসেন তিনি যেটা আমার কাছে ছিলনা । এরপর একদিন আমাকে ওনার মেয়ের জন্মদিনে দাওয়াত করলো তখন ওনার বাস ছিল ফ্রী পোর্ট এলাকায় , যার বাসায় ৪ জন কাজের লোক থাকে সে মানুষ কখনো কারো সাথে প্রতারণা করবে কেউ ধারণা করতে পারবে ?
আরো পড়ুনঃ মগধরায় নারী প্রতারক গ্রেপ্তার: কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
রিপন আরো বলেন, তার মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তোলা একটা ছবি দিয়ে সে মানুষকে দেখায় আর বলে আমিই তার স্বামী, এসব নিয়ে আমার সংসারেও অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিলো । এর মধ্যেই ওই নারীর প্রতারণার কিছু কিছু খবর আসতে থাকে । বাধ্য হয়ে আমার স্ত্রী বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি জিডিও করেছে । কিন্তু ওই ছবি দিয়ে ইদানিং কিছু অসাধু লোকজন আমাকে তার স্বামী ইব্রাহিম হিসেবে উপস্থাপন করে প্রচার করছেন যার কারণে আমার সামাজিক অবস্থান ক্ষুন্ন হচ্ছে । অথচ আমিও তার হাতে প্রতারণার শিকার ।
চট্টগ্রাম ফ্রী পোর্ট এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ জানান, আমাকে বৈধ হুন্ডির ব্যবসা, স্বর্ণের ব্যবসা ও বিকাশের পার্টনারশিপ করে দিবে বলে অনেক টাকা নিয়েছে , আমার শালাকে বিদেশ পাঠাবে বলেও প্রতারণা করেছে । এমনকি আমাকে ভুয়া ব্যাংকের একটা লাইসেন্স ও করে দিয়েছে । আমার কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মমতা ।


মোহাম্মদ আরো জানান, আমার এক বন্ধুকেও এই ভুয়া লাইসেন্স করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । সে একটা মামলাও করেছিলো ।
সন্দ্বীপ জার্নাল/ইএএম