• মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২০ অপরাহ্ন

বিদ্রোহী হতে পারেন পাশা: সন্দ্বীপে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে গুঞ্জন, আলোচনায় এলডিপি

সন্দ্বীপ জার্নাল ডেস্কঃ / ৪৬ ৪ ৯
আপডেট: মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫
সন্দ্বীপে বিএনপি

সন্দ্বীপে বিএনপি এখনো দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে পরবর্তীতে। ফলে সন্দ্বীপের স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আপাতত অপেক্ষায় আছেন।

তবে মনোনয়ন ঘোষণার আগেই দ্বীপজুড়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা–কল্পনা। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—আসনটি শেষ পর্যন্ত বিএনপি কি শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-কে ছাড়ছে?

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, যদি বিএনপি আসনটি জোটের শরিক এলডিপিকে ছেড়ে দেয়, তবে দলের ভেতর অন্তর্দ্বন্দ্ব তীব্র হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়ালে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী লড়াই কঠিন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীও লাভবান হতে পারেন বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।

এদিকে, এলডিপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, শরিকদের সঙ্গে আসন সমন্বয়ের অংশ হিসেবেই চট্টগ্রাম–৩ আপাতত ফাঁকা রাখা হয়েছে।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রফী উদ্দিন ফয়সাল। তারা প্রত্যেকে মাঠে অবস্থান ধরে রাখতে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন।

দলীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সন্দ্বীপে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সমীকরণ এখন বেশ জটিল। কারও পক্ষে মনোনয়ন গেলে অন্যদের ক্ষোভ বা বিদ্রোহী প্রার্থিতা দেখা দিতে পারে।

এরই মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা ঘোষণা দিয়েছেন—দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, “আমি সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম, আছি। জনগণই আমার শক্তি।”

সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট আবু তাহের বলেন,

“দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ব্যক্তিগত অবস্থান বা পছন্দ এখানে বিবেচ্য নয়। দল যাকে মনোনীত করবে, আমরা সবাই তার জন্যই কাজ করব।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে বিলম্ব এবং শরিক দলের সঙ্গে সমন্বয়ের জটিলতা সন্দ্বীপে দলের অবস্থান দুর্বল করতে পারে। এ অবস্থায় দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে বিএনপি পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছে।

উল্লেখ্য, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত সোমবার বিএনপি সারাদেশে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও, **চট্টগ্রাম–৩ (সন্দ্বীপ)**সহ আরও ৬৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
এ অবস্থায় নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে ইতিমধ্যে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছিলো সন্দ্বীপের সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ।


Skip to toolbar